ভাটার সময় স্পিডবোট কিংবা যাত্রীবাহী নৌকা থেকে নেমে কাদা মাড়িয়ে উঠতে হয় জেটিতে। এ ছাড়া তীর থেকে জেটি পর্যন্ত নৌকা সারি করে রেখে যাত্রীদের পারাপারের ব্যবস্থাও করা হয়। তবে ঝুঁকি নিয়ে নৌকার পর নৌকা ডিঙিয়ে জেটিতে পৌঁছানোর সময় অনেক যাত্রী দুর্ঘটনার শিকার হয়। নৌপথে কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের দুর্ভোগের অন্যতম কারণ কক্সবাজারের মহেশখালী জেটি।
নৌযান চালকেরা বলছেন, মহেশখালী জেটির সামনের বিশাল এলাকা ভরাট হয়ে যাওয়ায় ১২ বছর ধরে এমন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে যাত্রীরা। জোয়ারের সময় সমস্যা না হলেও ভাটার সময় জেটি থেকে তীরের দূরত্ব দঁাড়ায় ৫০০ মিটার। খাল খনন না করলে এই দুর্ভোগ কমবে না বলে জানিয়েছেন যাত্রী ও নৌযান চালকেরা। এদিকে খাল খননের প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করলেও বরাদ্দ না পাওয়ায় এ কাজ শুরু করা যাচ্ছে না বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
গত শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, জেটি থেকে অন্তত ৫০০ মিটার পর্যন্ত সারিবদ্ধভাবে নৌকা রাখা হয়েছে। ওই সব নৌকার ওপর দিয়ে তীর থেকে জেটিতে এসে উঠছে যাত্রীরা।
কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহেশখালী উপজেলার গোরকঘাটার পূর্ব পাশে ১৯৮৮ সালে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০০ মিটার দীর্ঘ এই জেটি নির্মাণ করা হয়। পরে জেটির সামনে চর পড়ায় ২০০০ সালে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে জেটির পূর্ব পাশে আরও ১০০ মিটার সম্প্রসারণ করা হয়। কিন্তু এতেও কোনো লাভ হয়নি। ভাটার সময় কাদা মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে আসা পর্যটক কামাল উদ্দিন চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘মহেশখালীর অপরূপ দৃশ্য দেখতে কক্সবাজার থেকে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে স্পিডবোটে এখানে আসি। কিন্তু মহেশখালী চ্যানেলের তীরে স্পিডবোট যখন থামল, তখন জেটি চোখে পড়ল না। কাদা মাড়িয়ে, নৌকার পর নৌকা পার হয়ে তবেই জেটিতে উঠেছি। এমন ভোগান্তি হবে জানলে এখানে পরিবার–পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসতাম না।’
জেটির টোল আদয়ে দায়িত্ব পালনকারী কর্মচারী রফিকুল ইসলাম চকরিয়া নিউজকে বলেন, দিনে অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ এই জেটি দিয়ে আসা যাওয়া করে। তার মধ্যে এক হাজারের মতো পর্যটক থাকেন। ভাটার সময় এসব যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ে।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম চকরিয়া নিউজকে বলেন, মহেশখালীর সঙ্গে কক্সবাজার সদরের যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করতে ফেরি সার্ভিস চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি কারিগরি কমিটি এলাকা পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। শিগগিরই মহেশখালীতে ফেরি সার্ভিস চালু হবে এবং জেটি দিয়ে চলাচলের দুর্ভোগও থাকবে না।
জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সবিবুর রহমান চকরিয়া নিউজকে বলেন, যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে গত বছর মহেশখালী জেটিতে খাল খননের জন্য বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু বরাদ্দ না আসায় খাল খনন করা সম্ভব হয়নি।
প্রকাশ:
২০১৭-০১-২২ ১১:৫১:২৭
আপডেট:২০১৭-০১-২২ ১১:৫১:২৭
- চকরিয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাভার্ডভ্যান পুকুরে, চালক নিহত
- চকরিয়া এডভোকেট এসোসিয়েশনের নির্বাচন সম্পন্ন
- কুতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসনের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
- ৯ মাসের জন্য বন্ধ হচ্ছে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ
- কক্সবাজারে চকরিয়া থানার ওসিসহ ৪ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
- চকরিয়ায় সড়ক বিভাগের জায়গা থেকে ৯০ অবৈধ দোকান উচ্ছেদ
- চকরিয়ায় নয়াবাদি খাল দখলমুক্ত ও সংস্কার দাবি কৃষকদের
- চকরিয়ায় সংরক্ষিত বনে বন্যাহাতির আক্রমণে শ্রমিক নিহত, আহত ১
- চকরিয়ায় টিআইবি সনাকের মানববন্ধন
- কক্সবাজার প্রেস ক্লাবকে সংষ্কারের দাবিতে সাংবাদিকদের সভা অনুষ্ঠিত
- অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যু, বিভিন্ন মহলের শোক
- চকরিয়ায় সড়ক বিভাগের জায়গা থেকে ৯০ অবৈধ দোকান উচ্ছেদ
- জেলায় ডা:শফিকুর রহমানের আগমন ও সম্মেলন সফল করতে চকরিয়া জামায়াতের প্রস্তুতি সভা
- অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যু, বিভিন্ন মহলের শোক
- নাইক্ষ্যংছড়ি’র ফুলতলী পয়েন্টে ১১বিজিবির হতে ৩১টি বার্মিজ গরু জব্দ!
- সড়কবাতি স্থাপন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ
- কক্সবাজার প্রেস ক্লাবকে সংষ্কারের দাবিতে সাংবাদিকদের সভা অনুষ্ঠিত
- চকরিয়ায় টিআইবি সনাকের মানববন্ধন
- চকরিয়ায় সংরক্ষিত বনে বন্যাহাতির আক্রমণে শ্রমিক নিহত, আহত ১
- চকরিয়ায় নয়াবাদি খাল দখলমুক্ত ও সংস্কার দাবি কৃষকদের
- ৯ মাসের জন্য বন্ধ হচ্ছে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ
- চকরিয়া এডভোকেট এসোসিয়েশনের নির্বাচন সম্পন্ন
পাঠকের মতামত: